Brief History

BGTA, The Rising

পশ্চিমবঙ্গের গ্রাজুয়েট ক্যাটাগরি শিক্ষকগণ দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ন্যায্য বেতন ক্রম থেকে বঞ্চিত। যদিও এ বিষয়ে কোনও সংগঠনের তরফ থেকে কোনও সদর্থক ভূমিকা ও পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। ফলে বঞ্চনা মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না । কিছু সংখ্যক সমভাবাপন্ন গ্রাজুয়েট শিক্ষক খোঁজ করতে থাকেন কোন এক প্লাটফর্মের বা অনুভব করেন জোট বাঁধার, যাতে এই বৈষম্যের অবসান ঘটে। সেই ভাবনা থেকেই তৈরি হয় পশ্চিমবঙ্গের গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের একমাত্র অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন, যার উদ্দেশ্য গ্রাজুয়েট ক্যাটাগরি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের অবসান এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার। শুরু হয় এক অসম লড়াই এর ।
17th Dec, 2016 মাননীয় মোঃ সাবির আলী মন্ডল এর অনুপ্রেরণায় বিজিটিএ ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন মাননীয় দুর্গাচরণ মন্ডল মহাশয় ।গ্রুপের নাম ছিল pass graduate teachers want tgt scale। 18th Dec সাবীর আলীবাবু, শিলিগুড়ির শিখিলবাবু এই গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। 12th January, 2017 সৌরেন ভট্টাচার্য মহাশয়কে যুক্ত করেন সাবিরবাবু । সৌরেন ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরি শিক্ষকদের সাংগঠনিক পদ্ধতিতে একত্রিত করার কঠিন কাজটি শুরু করেন । ইতিমধ্যে সতীশ চন্দ্র মাহাতো মহাশয়, পবিত্র গাঙ্গুলী মহাশয় 5th Feb,2017 এই group এর সাথে যুক্ত হন।

12 Feb, 2017 সৌরেন ভট্টাচার্য মহাশয় রাজ্য ষষ্ঠ Pay Commission কে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনার অবসানার্থে চিঠি পাঠান। 6th March উনি fb তে বয়ান দিয়ে জেলাভিত্তিক চিঠি পাঠানোর অনুরোধ জানান। সাবির আলী বাবু নিজে চিঠি পাঠান ও বয়ানের সমর্থনে আরও অনেকেরই চিঠি পাঠান। এছাড়া মালদা থেকে রতনবাবুর নেতৃত্বে , উত্তর ২৪ পরগনার দেবশ্রী ম্যাডাম সহ অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকার সই সংবলিত চিঠি রাজ্য পে কমিশনে , শিক্ষামন্ত্রীর কাছে , Education Secretary র কাছে পৌছায়।
এরপর সিদ্ধান্ত হয়  রাজ্য পে কমিশনের দপ্তরে সরাসরি আমাদের দাবি পৌছে দেওয়ার। সৌরেন ভট্টাচার্যের তৈরি ‘আমাদের দাবি সনদ’ সই-সংবলিত চিঠি নিয়ে 26th April 2017 ও 8th May 2017 দুর্গাচরণবাবু , প্রতাপ মন্ডল, অমিতাভবাবু, রাকেশবাবু , রতনবাবু ও আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষক Pay Commission Office, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, বিদ্যালয় শিক্ষার কাছে জমা দেন।
সংগঠনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দানের উদ্দেশ্যে সৌরেন ভট্টাচার্য মহাশয় 18th June, 2017 সংগঠনের নামকরণ করেন বেঙ্গল গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এসোসিয়েশন, সংক্ষেপে বিজিটিএ। সংগঠনের লোগো , স্ট্যাম্প ও letter pad তৈরি করেন। 27th June সংগঠনের ফেসবুক কভারপেজ তৈরি করা হয় । 
এরপর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে সৌরেনবাবু ব্যারাকপুরে একটি মিটিং ডাকেন । সেখানে ছিলেন চার জন -সৌরেনবাবু, পবিত্রবাবু , অনাথবাবু ও সুশীলবাবু । উপস্থিতি নগণ্য হলেও তারা হাল ছাড়েননি, বরং দৃঢ় প্রত্যয়ে সেই মিটিং এ আইনজীবী উদয় শঙ্কর চ্যাটার্জীর সঙ্গে দেখা করে আইনি পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর আইনজীবী উদয় শঙ্কর বাবুর কাছে যান সৌরেনবাবু, প্রতাপবাবু , পবিত্রবাবু , অনাথবাবু , অরিন্দমবাবু ও আরও 2জন ।
ইতিমধ্যে 1st জুলাই, 2017 ধ্রুবপদ ঘোষাল মহাশয় যোগ দান করেন।
এরপর 30th July, 2017 আইনজীবী এক্রামুল বারীর সঙ্গে দেখা করেন সৌরেনবাবু, প্রতাপ বাবু , ধ্রুব বাবু ও সতীশ বাবু । কিন্তু উনি কেস নিতে অস্বীকার করেন।
8th Octber শিয়ালদায় মিটিং হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাচরণবাবু , প্রতাপবাবু , পবিত্রবাবু, ধ্রুববাবু , সতীশবাবু , পুলকবাবু , শংঙ্করবাবু, বিপ্লববাবু । সেখানে আইনজীবী অনিন্দ্য বসুর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ব্যক্তিগতভাবে কেস দাখিল করার, কারণ তখনও সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন হয় নি।
বর্ষীয়ান আইনজীবী পার্থসারথী ভট্টাচার্য প্রথমে কেসের মেরিট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও সৌরেনবাবুর কঠোর পরিশ্রম করা নথির ভিত্তিতে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে কেস লড়তে রাজি হন — শুরু হয় আইনি লড়াই। প্রথম মামলার প্রথম পিটিশনার ছিলেন সতীশচন্দ্র মাহাতো মহাশয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন  অভিজিৎ দাস, শিখিল বিশ্বাস, নীলাদ্রী শেখর সমাদ্দার, রত্নদ্বীপ সামন্ত, চম্পা মণ্ডল, শিবপ্রসাদ নন্দী, মলয়বাবু, , স্বপনবাবু, মিহিরবাবু, মনোজিৎ মাহাতো, শাশ্বতী মাইতি, দেবরঞ্জন সাঁই প্রমুখ।
ইতিহাস তৈরি করে বিজিটিএ । সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় পদোন্নতি চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়। কারণ আজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষক সংগঠন এই বিষয়ে কোনো আন্দোলন করেনি। ইতিমধ্যে সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনগত কারণে নাম পরিবর্তন হয়, নতুন নাম হয় ‘রানাঘাট ও বি আর বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এসোসিয়েশন’, যা পূর্ব সংক্ষিপ্ত নাম ‘বিজিটিএ’ নামেই জনপ্রিয় । এরপর যাবতীয় মামলা সংগঠনগত ভাবে দায়ের হয়। শুরু হয় আরও সঙ্গবদ্ধভাবে পথ চলা। সংগঠনকে দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে আসেন বিভিন্ন জেলা থেকে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা, যাদের কর্মগুণে সংগঠন মহীরুহ রূপ ধারণ করতে থাকে । সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে এসে প্রথমবার বিজিটিএ-র নেতৃত্বে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ রাস্তায় নামেন ১৯ মার্চ বিকাশ ভবনের সামনে। এরপর শুধুই এগিয়ে চলা।

Scroll to Top